About একাত্তরের স্মৃতি
আমার এই স্মৃতিকথা সাহিত্য সংস্কৃতি জনকল্যাণ সংস্থা সেবা’র চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেইনের অনুরোধে, তাগিদে এবং অনূপ্রেরণায় লিখতে শুরু করি। আসলে লিখতে নয় আমি মুখে মুখে কথাগুলো বলে যেতাম, আশরাফ হোসেইন ওগুলো লিখে নিতো এবং এ রচনা তারই বিভিন্ন সংকলনে এবং পরে মাসিক নতুন সফরে ধারাবাহিকভাবে বেরিয়েছে। কেনো এ স্মৃতিচারণা করতে রাজী হয়েছি সে কথা একটু বলা দরকার। ৭১ এর পর আমরা যারা বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থন করিনি তারা কলাবোরেটর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলাম। আমি ৭১ এর ডিসেম্বর থেকে ৭৩ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলে ছিলাম এবং তখন থেকে পাকিস্তান আন্দোলন ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইতিহাস সম্বন্ধে এমনসব কথা শুনেছি যা শুধু উদ্ভটই নয়, সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমাদের কথা বলার সুযোগই ছিল না। আমরা যে, একটা আদর্শে বিশ্বাস করতাম সে স্বীকৃতি পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে উত্থিত অভিযোগের মধ্যে ছিল না।
৪০ সাল থেকে ৪৭ সাল পর্যন্ত যে অসংখ্য তরুণ পাকিস্তান আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল, আমি তাদের অন্যতম। কৃতিত্বের জন্য একথা বলছি না, নিজের পরিচয় দেবার জন্য কথাটি উল্লেখ করছি। ৪১-৪২ সালে আমি যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের ছাত্র, তখন আমাকে সভাপতি করে পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ গঠিত হয়। সৈয়দ আলী আহসান ছিল এ সংসদের সেক্রেটারী। আমাদের লক্ষ্য ছিল, বাংলা ভাষায় মুসলিম কালচারের পরিচয় থাকে এমন সাহিত্য সৃষ্টিতে লেখকদের উদ্বুদ্ধ করা। ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইষ্ট পাকিস্তান রেনেসাঁস সোসাইটি (এর সভাপতি ছিলেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন) যে সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে তাতে ২৪ বৎসর বয়সে সাহিত্য শাখার সভাপতির দুর্লভ সম্মান লাভ করেছিলাম। এরপর সে বছর জুলাই মাসে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে লেকচারার হিসাবে যোগ দেই।
Download and install
একাত্তরের স্মৃতি version 0.0.1 on your
Android device!
Downloaded N/A times, content rating: Not rated
Android package:
com.skmoni.akattor, download একাত্তরের স্মৃতি.apk