About ফাজায়েলে যিকির
পবিত্র কোরআনের তাগিদ “হে ঈমানদার গণ, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”(সুরা আহযাব – ৪১) তারাই জ্ঞানী ব্যক্তি যারা দাড়ানো বসা এবং শোয়া অবস্থায় তথা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে (সুরা আল ইমরান – ১৯১)। “অতঃপর তোমরা যখন নামায সম্পন্ন কর তখন দন্ডায়ামান, উপবিষ্ঠ ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর” (সুরা নিসা ১৪২)। “তুমি স্বীয় অন্তকরণে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর বিনয়ের সাথে এবং ভয়ের সাথে আরও স্মরণ কর প্রত্যুসে ও সন্ধ্যায় উচ্চ স্বরে ব্যতিরেকে নিম্ম স্বরে। আর গাফেলদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না” (সুরা আরাফু- ২০৫)। “আল্লাহর স্মরণই (জিকির) সবচেয়ে বড়” (সুরা আনকাবুত – ৪৫)। “আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী এবং স্মরণ কারীনি, আল্লাহ তাদের জন্য মাগফেরাত ও প্রতিদানের ব্যবস্থা রেখেছেন” (সুরা আহযাব- ৩৫)। “সকাল সন্ধ্যা তোমরা রবের স্মারণ কর” (সুরা দাহার -২৫)। হযরত মুসা (আঃ) এর উদ্দেশ্যে আল্লাহপাক বলেছেন “(হে মুসা) তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনাবলী সহ যাও এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না।” (সুরা তোয়াহা -৪২)। হযরত মুসা (আঃ) ও আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে একবার বলেছেন – “তাকে (আমার ভাইকে) আমার কাজে অংশীদার করুন। যাতে আমরা বেশী করে আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করতে পারি এবং বেশী পরিমানে আপনাকে স্মরণ করতে পারি” (সুরা তোয়াহা ৩২-৩৪)। জিকির বা আল্লাহর স্মরণ হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে অল্প আমলে অধিক সওয়াব পাওয়ার মাধ্যম। অপরদিকে জিকির হচ্ছে যাবতীয় ইবাদতের দেহ। পবিত্র কালাম পাকে এরশাদ হচ্ছে “তোমরা আমার স্মরণের উদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম কর”।”
জিকির শব্দের অর্থ আল্লাহর স্মরন। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে যে কাজের দ্বারা সওয়াব হয় তাহাই জিকির। কারণ প্রতিটি সওয়াবের মুহুর্তেই আল্লাহর স্বরন হয়। মোট কথা আসল জিকির হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহকে আমদের ক্বলব বা মনের মধ্যে স্মরণের মাধ্যমেই আমাদের ক্বলব বা মন পরিস্কার বা সুস্থ করা সম্ভব। হাদিস শরীফ থেকে জানা যায় সবচেয়ে উত্তম জিকির গুলো হচ্ছেঃ
১/ আল্লাহ,২/ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ,৩/ সোবাহানাল্লাহি ও বি হামদিহি সুবহানাল্লহিল আজিম,৪/ সোবাহানআল্লাহ, ৫/আলহামদুলিল্লাহ ৬।আল্লাহু আকবার।
জিকির শব্দের অর্থ যেহেতু স্মরণ করা, উচ্চারণ করা নয় তাই আল্লাহর জিকির ঠিকভাবে করতে হলে উপরোক্ত যে কোন একটি বাক্যের দ্বারা মনে মনে উচ্চারণ করতে হবে।
হযরত আব্দুল কাদের জিলানি (রঃ) এর মতে “মুমিনের এক মুহুর্তের জন্য আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরুপ হওয়া বেআদবীর শামিল।”
রসুল পাক (সঃ) কে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে কোন বান্দা সবচেয়ে শ্রেষ্ট ও উচু মর্যাদার আধিকারী হবে ? জবাবে রসুলে পাক বললেন আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী নারী ও পুরুষ গন। তখন আবার প্রশ্ন করা হলো আল্লাহর রাস্তায় জেহাদকারী অপেক্ষাও কি? জবাবে রসুল পাক (সঃ) বললেন হ্যা সে যদি তার তরবারী দ্বারা কাফের ও মুশরেকদেরকে এমন ভাবে কাটে যে , তার তরবারী ভেঙ্গে যায় আর সে নিজে রক্তে রক্তাক্ত হয়ে যায়। তবওু তার চেয়ে আল্লাহর যিকিরকারী মর্যাদার দিক দিয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ। (আহমদ, তিরমিজি, বাইহাকী,মিশকত)।
রসুল পাক (সঃ) বলছেন :আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি দ্বাতা আল্লাহর যিকিরের চেয়ে আর কোন জিনিস নাই। (বইহাকী, মিশকাত) রসুল পাক (সঃ) বলেছেন আমি কি তমাদিগকে এমন একটা আমলের কথা বলবোনা যা সকল আমল অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, তোমাদের মর্যাদাকে সবচেয়ে উচুকারী, সণ্বর্ ও রুপাদান করার চাইতেও শ্রেষ্ঠ এবং জিহাদে শত্রুদের সম্মুখীন হওয়া যে,তোমরা তাদেরকে মারবে আর তারা তোমাদের মারবে এভাবে জেহাদ করার চাইতেও উত্তম? তখন সাহাবা (সঃ) গন উত্তরে বললেন হ্যা অবশ্যই বলুন। তখন রাসুল (সঃ) বললেন : তা হলো আল্লাহর জিকির (আহমদ, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ, ইবনে আবিদ, দুনিয়া, হাকেম, বাইহাকী, জামে সগীর, মিশকাত শরীফ।)
অ্যাপটিতে ফাজায়েলে যিকির এর অল্প কিছু ফাযায়েল তুলে ধরা হয়েছে।কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের কাছে যে সকল অ্যাপস পাবেন সেগুলো দেওয়া হল।
* দাওয়াত ও তাবলীগ
*ফাযায়েলে আমল/ Fazail E Amaal
*ফাজায়েলে কুরআন/ Fazail E Quran
*ফাজায়েলে রমজান/Fazail E Ramadan
*ফাজায়েলে দুরুদ/ Fazail E Durud
*ফাজায়েলে জিহাদ/ Fazail E Zihad