About ঈদের দিনের আমল
ঈদকে একটি পবিত্র উৎসব হিসেবে পালন করতে হবে। এর সুন্নত তরিকা হলো ঈদের নামাজের আগে গোসল করে নেয়া, ভালো পোশাক পরে আতর-সুগন্ধি মেখে ঈদগাহে যাওয়া, সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হলে ঈদের নামাজের আগে তা আদায় করে দেয়া, পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া, সম্ভব হলে এক রাস্তায় যাওয়া, অপর রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা, ঈদগাহে যাওয়ার আগে মিষ্টিমুখ করে নেয়া, ঈদগাহের দিকে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া, নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করা, ঘরে ফিরে চার রাকাত নফল নামাজ পড়া। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের ঈদকে তাকবির দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত কর।’ রাসূল (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, পাঁচটি রাত জেগে যে ব্যক্তি ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। রাতগুলো হলো- ১. জিলহজের রাত, ২. আরাফার রাত, ৩. ঈদুল আজহার রাত, ৪. ঈদুল ফিতরের রাত, ৫. মধ্য শাবানের রাত। সুতরাং ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদত করা খুবই পুণ্যময় কাজ। ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থঃ ঈদ শব্দটি মূলত ছিল ‘আউদ’ (আইন-ওয়াও-দাল)। ওয়াও হরফটি ইয়া দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে ‘ঈদ’ (আইন-ইয়া-দাল) হয়েছে। আরবি ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য এই শব্দটির অর্থ হল ঘুরে আসা, ফিরে আসা। প্রতি বছর এই দিন মহান আল্লাহর কতক নিয়ামত তাঁর বান্দার প্রতি ঘুরে ফিরে আসে। যেমন ঈদুল ফিতরে সিয়াম পালন অবস্থায় দিনের বেলা পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার পর পুনরায় ঈদের দিন থেকে দিনের বেলা পানাহার শুরু করতে পারার নিয়ামত, গরিব-মিসকিনদেরকে সাদাকাতুল ফিতর প্রদান করতে পারার নিয়ামত এবং ইদুল আযহার দিন হাজি সাহেব কর্তৃক এই দিনে তাওয়াফে যিয়ারত-এর মাধ্যমে হজ্বের কতক গুরুত্বপূর্ন কাজ সমাপ্ত করতে পারার নিয়ামত, কুরবানির গোশত ধনি-গরিব মুসলিম-অমুসলিম সকলের জন্য মুসলমানদের পক্ষ থেকে মেহমানদারি করতে পারার নিয়ামত ইত্যাদি। উল্লেখিত কারণে স্বভাবগত ভাবে মুসলমানদের মাঝে সৃষ্টি হয় আনন্দ, খুশি, ফূর্তি। তাই ঈদের দিন খুশির দিন, আনন্দের দিন, সৌভাগ্যের দিন।