মুক্তির পয়গাম

মুক্তির পথ

তাহলে কি মানুষকে এই অশান্তি সৃষ্টির জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন? বিভেদ ও বিশৃংখলার জন্য সৃষ্টি করেছেন? কঠিন ও জটিল এই পৃথিবীতে মানুষকে পথের সন্ধান না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন? না, কখনই তা হতে পারে না। আল্লাহ তো দয়াময় ও মেহেরবান। যে আল্লাহ্‌ বিশাল এই পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন আমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দের জন্য যে আল্লাহ্‌ সব মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আলো, বাতাস আর খাবার দিয়ে সেই আল্লাহ্‌ মানুষকে বাতলে দিয়েছেন সরল, শান্তির পথ- সিরাতুল মুস্তাকিম । কোন পথে চললে মানুষ পাবে শান্তি, কোন পথে আসবে মানুষের মর্যাদা, কোন পথে চললে মানুষ তার দায়িত্ব পাবে তা তিনি সৃষ্টির সাথে সাথেই জানিয়ে দিয়েছেন মানুষকে। শিখিয়ে দিয়েছেন প্রথম মানুষ হযরত আদম (স) কে। হযরত আদম আঃ তাঁর গোটা জীবন সেইভাবে চালিয়েছেন।


তাঁর পুত্র পরিজনকেও সেইভাবে পরিচালনা করেছেন। তার পর দিন দিন মানুষের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। ছড়িয়ে পড়লো মানুষ পৃথিবীর আনাচে-কানাচে আস্তে আস্তে আল্লাহর পথও ভুলে গেল তারা। রাহমানুর রাহীম আল্লাহ আবার মানুষকে মুক্তির পথ বাতলিয়ে দিতে চাইলেন। তিনি মানুষের মধ্যে থেকে বিশেষ কিছু মানুষকে মনোনিত করলেন। এই মনোনীত বান্দারা হলেন নবী ও মানুষ। এবং সেই বাতলিয়ে দেয়া পথের নাম-ইসলাম। আল্লাহর এই মনোনীত বান্দারা তাঁর হুকুম নিজেরা মেনে চলেছেন আর তাদের যুগের সাধারণ মানুষদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন-দেখো, এইভাবে চলো, এইভাবে নিজেদের জীবনকে গড়ে তোল, সমাজকে গড়ে তোল। শুধু মুখে মুখে নয়, কাজের মাধ্যমে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন আল্লাহর পথ কোনটি। তাই ইসলাম শুধু মাত্র একটি ধর্মের নাম নয়। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত শান্তির পথ। এই দুনিয়ায় মানুষের জীবন-যাপনের পথ নির্দেশ।


সর্বশেষ নবী হলেন আমাদের প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স)। তিনি সকল নবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ নবী। আল্লাহ তাঁর কাচে যে বাণী পাঠিয়েছেন তা হলো-আল-কুরআন। কুরআন আজও হুবহু আমাদের মাঝে আছে অথচ অন্যান্য নবীদের শিক্ষা আজ আর অক্ষত অবস্থায় নেই। তাই আল্লাহর দেখানো পথ আমরা এখন একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (স) এর কাছ থেকে পেতে পারি। ইসলাম বলতে আমরা এখন যা বুঝি তা হলো-হযরত মুহাম্মদ (স) এর কাছ থেকে দেয়া শিক্ষা-দীক্ষা।


মানুষের গড়া মতবাদ

আল্লাহর দেখানো এই মুক্তির পথকে বাদ দিয়ে মানুষ নিজে তার চলার পথ রচনার চেষ্টা করেছে বহুবার। কেউ বলেছে, এ পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। এ দুনিয়াটাই সব-দুনিয়ার সুখ শান্তিই সব। অতএব খাও দাও ফুর্তি কর। আর এ জন্যে অন্যকে ঠকিয়ে বড়লোক হওয়া অন্যায় নয়। শ্রমিককে খাটিয়ে তোমার টাকাকে আরো বাড়াও। কিন্তু তাদেরকে ঠাকানো কোন ক্ষতি নেই। কে তোমাকে আটকাবে? পরকাল? তা তো নেই। এই ধরণের চিন্তা বা মতাবাদের নাম হলো পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদ সমাজে এক দলের ঘাম আর রক্তের বদলে বড়লোক হলো অন্য একদল। বড়লোকেরা আরও বড়লোক হলো গরীবরা হলো আরও গরীব। সমাজের সমস্ত কর্তৃত্ব চলে গেল এই সব লোকের হাতে। পুঁজিবাদ তাই কোন শান্তির দিশা দেখাতে পারলো না মানুষকে। এই অন্যায় ও বেইনসাফীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে উঠলো। ক্ষেপে উঠলো শ্রমিকরা, ক্ষেপলো সাধারণ কৃষকরা। ধীরে ধীরে গড়ে উঠলো আরও একটা মতবাদ। তার নাম কম্যুনিজম। এই মতবাদের হোতারা বললো-দেখো, মানুষ ধনের জন্য অন্যর উপর জুলুম করে। অতএব সকলের নিজস্ব সব সম্পদ কেড়ে নাও। সকলের সম্পদ কেড়ে নিয়ে গড়ে তোলা গরীবদের সমাজ। সব সম্পদের মালিক হবে রাষ্ট্র। সকলেই খাটবে। সকলে সমান মজুরী পাবে। সকলেই হবে সমান। কথাগুলো সত্যি খুব সুন্দর। গরীবরা যারা এতোদিন ছিল নির্যাচিত তারা আশার আলো দেখলো তাতে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা ঘটলো অন্য রকম। গরীবরা শাসক হবে কিভাবে? সব গরীবতো একসাথে দেশ শাসন করতে পারে না। তাই স্বাভাবিকই গুটিকতক লোকের হাতে চলে গেল দেশ শাসনের সর্বময় ক্ষমতা। আর সেই সাথে তারা হলো সারাদেশের সম্পদের হর্তাকর্তা। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে সম্পদের মালিক ছিল গুটিকতক লোক। তাদের হাতে তেমন ক্ষমতা ছিল না। এখন এই নতুন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নতুন পথের সন্ধান করলো। তারা বুঝলো দেশ এখন সবার। সরকার সকলের। অতএব বিরোধিতা করা যাবে না। সামলোচনা করা যাবে না। যারা বিরোধিতা করবে, সমালোচনা করবে তারা সরকারের শত্রু অতএব জনগণের শত্রু। আর তাই লাগাম আঁটা হলো সকলের মুখে। একমুঠো খাবারের জন্যে হারাতে হলো সবকিছু। এই নতুন মতবাদও মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে পারলো না। সময়ের ব্যবধানে এই মতবাদেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। Way of salvation

What if God has created for the people of this turmoil? For disintegration and chaos created? Difficult and complex the world has left them without guidance? No, no it can not be. Allah the Most Gracious and the Most Merciful. God created everything in this world has the ease and happiness of our people that God sustains light, air and food that God has taught people a simple, one way-through siratula Mustakim peace. No way, people will be moved, peace, human dignity is no way, no way the responsibility of the people to be able to follow along with what he has announced the creation of man. The first man Adam was taught (s) is. Adam Noah continued his whole life in the same way.


Managed by the same family for his son. The number of people began to grow day by day. Every corner of the earth was spread slowly, they forgot God's ways. God gave man the way of salvation bataliye rahamanura Rahim. Selected from among the people, he was something special. Servants the prophets and the chosen people. And the path name of the bataliye-Islam. The chosen people of God, the common people, and they obeyed his commands, they showed-on, so let's go, and build their own lives, build community. Not only orally, through the work of God is the way they have been interpreted. So in the name of Islam is not just a religion. Islam is God's chosen way of peace. This refers to the way of living of people in the world.


Our beloved Prophet Hazrat Muhammad Mustafa, the Last Prophet (S). He is the best of all the prophets. He sent word to him that the Al-Quran glass. Yet there are still some other prophets, the Quran teaches us exactly the situation today is no longer intact. Therefore, we are now the sole guidance of Allah Muhammad (pbuh) from the can. Now we understand that Islam is-Muhammad (pbuh) from the education.


Man-made doctrine

This release beside the path shown by Allah himself has tried several times to write his paths. Someone said, is the creator of the world. Duniyatai in all the peace and happiness of all. So let the fun to eat. It is not wrong to be rich to oppress others. Stretch your money by using more workers. But there is no harm to them fool along. Who prevents you? Afterlife? It does not have. This type of thought or doctrine is the name of capitalism. Capitalism is a class society, the sweat and blood of the rich, rather than the other group. The rich and the poor even more poor is a big shot. All authority in the hands of the people of this community had gone. Capitalism is not a man of peace could show orientation. This is unfair and against the people of beinasaphira was angry. The workers were angry, ksepalo ordinary peasants. Another theory was developed gradually. The name of communism. In the process said on the leaders, the people who oppress others for riches. So take away all the wealth of its own. Build wealth and take all the poor society. All the wealth of the state. Does everyone. We all will be equal. Will be all the same. Words are really very nice. Until now, there were those who saw the light of hope to the poor, they niryacita. But actually happened is another matter. How to be the ruler of the poor? All garibato can not govern the country together. So the steady hands of a few people went to the absolute power to rule the country. They are an asset to the country, hartakarta. There was a few people wealthy, capitalist nations. There was no power in their hands. Now, the power of this new system, new ways to save it. They are all now understand the country. All government. Therefore, can not be opposed. Can not samalocana. Those who oppose, criticize the government, so the enemy is an enemy. So tighten the reins at all. For a handful of food is to lose everything. The new theory could not show the path of liberation. This doctrine was doomed to failure over time.