About প্রবাস জীবনের বেদনা ভরা কষ্টের গল্প
গল্প কে না ভালবাসে, আর তা যদি শিক্ষণীয় গল্প হয় তাহলে তো কথাই নেই। প্রবাসীদের জীবনের কিছু না কিছু ব্যক্তিগত গল্প থাকে যা কাউকে বলা হয়ে উঠে না। প্রবাস জীবন মানেই কষ্টের । তারপরও কিছু কিছু কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকেনা । এমনি এক অসহনীয় কষ্টের কাহিনি সংগ্রহ করে আপনাদের জন্য আমরা তৈরি করেছি প্রবাস জীবনের কষ্টের গল্প নামক এই এপস টি। আশা করি প্রবাসীদের কষ্ট কিছুটা হলেও আপনারা বুঝতে সক্ষম হবেন।
দেখতে দেখতে হয়ে গেলো আমার প্রবাস জীবনের এক বছর গত ৩০ আগস্ট।কত কিছু বলবার আছে আমার,কত কিছু ! কত অভিজ্ঞতার গল্প, সংগ্রামের গল্প,সংগ্রাম দেখার গল্প,এই নিষ্ঠুর জীবনে মানুষের বেঁচে থাকার আশার গল্প,বেদনা আর আহত হবার গল্প কিংবা সুখ আর শান্তির গল্প .....খুব লিখতে ইচ্ছে করে।সে জন্য ল্যাপটপের সামনে প্রায়ই যাই।যতক্ষণ থাকা উচিত,ঠিক তার থেকে বেশী সময় ধরেই স্ক্রীনটার সামনে বসে থাকি। বসে থাকি,তো থাকিই,কিচ্ছু লেখা হয় না।আজ কিছুটা বলি আমার ভীনদেশে আসার গল্প ?
আমার প্রবাস-জীবন আর দশটা প্রবাস জীবনের থেকে খুব একটা কিছু আলাদা কিছু নয়। ডিসিশনটা একদমই হঠাৎ করে নেয়া ।হঠাৎ একদিন আমার এক মামা (আমার এক বন্ধু ) বললো যাবা নাকি লন্ডন,আমি বল্লাম ভাইয়াদের সাথে কখা বলে দেখি....
কিভাবে কিভাবে জানি সব ভাইয়াদের ম্যানেজ করে নিলাম ।তারপরে আমি দৌড়াই ঢাকার আর সিলেট ,সব কাগজ ম্যানেজ করে নিলাম ১০ দিনের মধ্যে,এইবার আমি ভিসার জন্য দৌড়াই ব্রীটিশ কাঊন্সিলে ...অবশেষে সব শেষ হয় ... সবুজ পাসপোর্টে একটা লাল চকচকে সীল নিয়ে সেই মামার আগেই আমি ঢাকা হতে বাড়ী আসি।শেষ কয়টা দিন কেমন জানি ঘোরের মাঝে কাটে গেল বাজার ,ব্যাংক ট্রাভেল এজেন্টদের অফিসে দৌড়াদৌড়ি ... বাড়ীর ঝামেলা,বন্ধুদের টাইম দেয়া,আত্মীয়দের নিমন্ত্রণরক্ষা ।
গত বছর আগস্টের ৩০ তারিখ সকালে দেশ ছাড়লাম সেই মামা আর আমি তবে দুই বিমানে। বিদায় দিতে আসা একগাদা ফ্রেন্ড ,বাবা,ভাইরা সবাইকে রেখে ... বিশাল বিশাল লাগেজ আর একগাদা ঊপদেশ নিয়ে বিমানবন্দরের কাচের দরজাটা পার হয়ে গুডলাক বাংলাদেশ দিলাম ,আমি বিমানে বসে বসে চুপচাপ ভাবি কত কিছু করা হল না, ঢাকা টু দিল্লী... দিল্লী টু লন্ডন ....
দেশে থাকতে মনে করতাম প্রবাস জীবন কতো না সুখের। কিন্তু বিদেশের মাটিতে পা দেয়ার পরপরই শুরু হল অন্যরকম সংগ্রাম, প্রতিনিয়ত শরীর এবং মনের সাথে যুদ্ধ। কিন্তু সেই যুদ্ধে পিছিয়ে আসার উপায় নেই তাই এখনো করছি .......
যখন হিথ্রোর সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে ধরে হাঁটা শুরু করলাম তখন নিজেকে প্রথমবার খুব একা মনে হল আমার পুরা বিমানযাত্রায় যে জিনিসটা নিয়ে খানিকটা টেনশনে ছিলাম সেটা হচ্ছে ইমিগ্রেশন অফিস আর স্টাডি পারমিট ,যদিও আমার সবুজ পাসপোর্টে চকচকা লাল একটা ভিসা আছে, তাও নাকি ইমিগ্রেশন আমার কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট না হলে পারমিট না দিয়েই ভাগিয়ে দিতে পারে ... এবং এই টাইপ ঘটনা নাকি একেবারে রেয়ার না ,বাস্তব কিন্তু ভিন্ন ইমিগ্রেশনের মহিলা যথেষ্টর চেয়েও বেশি হেল্পফুল দুই এক কখা বলেই ঘ্যাচাঘ্যাচ সীল দিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে “ওয়েলকাম টূ ইংল্যান্ড , গুড লাক উইথ ইওর স্টাডীজ”... আমি মুগ্ধ ...ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিশাল বিশাল লাগেজ নিয়ে প্রথম টের পেলাম যে আমি আর বাংলাদেশে নাই ,বের হওয়ার ঠিক সাথে সাথে দেখা হল ভাতীজার সাথে ,তার সাথে আগে থেকে ঠিক করে রাখা বাসাতে চল্লাম ট্রেনে করে