About 29 দিনের মধ্যে ইংরেজি শিখুন
ইংরেজি ও কিছু কথা
”বিভিন্ন ভাষা রপ্ত করা বিশেষ গুন তবে, সবার আগে মাতৃভাষা। গৌরবময় জাতীয় জীবনে মাতৃভায়ার সঠিক এবং বহুল চর্চার বিকল্প নেই।”
ইংরেজী সব ক্ষেএে খুবই প্রয়োজন।ইংরেজী ছাড়া ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা ভাল চাকরি সম্ভবব নয়।
ইংরেজি ও কিছু কথা :
কমন প্রশ্নগুলোর একটি হলো, ইংরেজি নিয়ে টেনশন, কি করা যায়? কেউ যেখানে এক্সপার্ট হতে চাচ্ছেন, সেখানে আবার অনেকে কেবল বেসিক স্ট্রং করতে চাচ্ছেন। কেউ আবার ব্যর্থতার মূল কারণ ইংরেজির ঘাড়েই চাপাচ্ছেন। যারা ইংরেজিতে এক্সপার্ট তাদের জন্য নয়, বরং যারা ইংরেজি নিয়ে সমস্যায় আছেন, আমার আজকের লেখাটা তাদের জন্য।
★ইংরেজি নিয়ে অতিরিক্ত টেনশনের কোন মানে হয় না। কেননা, ইংরেজি বিদেশি ভাষা। আর এতে আমাদের সবারই কম বেশি দুর্বলতা আছে। যারা খুব ভালো ইংরেজি পারেন, তাঁরাও খুব বেশি নম্বর এগিয়ে থাকবেন না। কেননা,নম্বরের অনুপাতে ইংরেজির ভাগে তেমন পড়ে না।
★এরপর আসছে, গ্রামারের রুলস নিয়ে। এ বিষয়ে হাজার হাজার রুলসের ছড়াছড়ি!!! কয়টা শিখবেন? তাই, বরং একটু কৌশলী হোন। ডেইলি লাইফের অনেক এক্টিভিটি থেকেও শিখতে পারেন চমৎকার কিছু। যেমন একটা মেসেজ পড়ছেন, বিভিন্ন ব্যাংক কিংবা অন্য কোন সোর্সের। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। একটা ইংলিশ আর্টিকেল পড়ার সময়ও বাক্যের গঠন,নিয়ম খেয়াল করুন।
★অনেকেই মনে করেন, ইংলিশে খুব ভালো না হলে, বি সি এস হবে না। ব্যাপারটা তা নয়। ইংলিশ জানা প্রয়োজন, তবে একদম এক্সপার্ট হতে হবে না।
★এবার আসি, শেখার প্রক্রিয়ায়। আমরা যখন বাংলা শিখেছি, তখন ছোটবেলায় শুধু শুনেছি। এরপর, যেভাবে পেরেছি বলেছি। ইংরেজিতেও তাই করুন। ইংরেজি সংবাদ শুনুন। বিটিভির রাতের খবর শুনতে পারেন। ইংরেজিতে কমেন্টস করুন। যে কোন বিষয়ে ইংরেজিতে সহজ ভাষায় লিখুন। দেখবেন, ভুল করতে করতেই এক সময় চমৎকার লিখছেন। কেউ ভুল হয়েছে বললে, শুদ্ধিকরণটাও উনার কাছ থেকে করিয়ে নিতে পারেন।
★ইংরেজি রিডিং কম্প্রিহেনসনের যে কোন একটা বই, (সাইফুরস রিডিং বা ১১-১২ শ শ্রেণির ইংরেজি বোর্ড বই)থেকে প্রতিদিন ৫/৬ টা বাক্য মন দিয়ে পড়ুন। বাক্যগুলোর গঠন প্রক্রিয়া খেয়াল করুন এবং ধৈর্য নিয়ে প্রতিদিন অনুবাদ করুন।
★প্রথমে ৫/৬ বাক্য দিয়েই শুরু করুন। ক্রমান্বয়ে বাড়ান। ১ মাসেই পার্থক্য দেখবেন আপনার মাঝে।
★এভাবেও করতে পারেন..
একটি ইংরেজি দৈনিকের এডিটরিয়াল, অল্প অল্প করে বুঝে বুঝে পড়ুন। অনুবাদ করুন। লেখার ধরনটা দেখুন। ওভাবে লিখতে চেষ্টা করুন। এবং গ্রামাটিকেল রুলস গুলোর প্রয়োগ ও খেয়াল করুন। কাজটি যদিও একটু সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ। একবারে অনেক কাজে আসে।প্রথমে ২/৩ টা বাক্য দিয়ে শুরু করুন। পুরো আর্টিকেল টা পড়ার /অনুবাদের দরকার নেই। প্রথম সপ্তাহেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
**Essay এর জন্য সমসাময়িক তথ্য আর সহজ ভাষায় লেখার এবিলিটই যথেষ্ট।যেকোন একটা টপিকস আপনি সিলেক্ট করুন। যেমন, The Rise of Religious Extremism as a Global Threat.
এ বিষয়ে বাংলায় পড়ুন আগে। এরপর ইন্টারনেট থেকে ২/১ টা ইংরেজি আর্টিকেল পড়ুন, এ বিষয়ে । দু'দিন পরে, এ বিষয়টা নিয়ে পূর্ণ ১ ঘণ্টা ইংরেজিতে সহজ ভাষায় লিখুন। তারপর, আপনার চেয়ে ইংরেজিতে এগিয়ে আছে এমন কাউকে দেখান। আর না পারলে, নিজেই চেক করুন।
*এভাবে, প্রতি সপ্তাহে একটা টপিকস যদি পড়তে পারেন, তাহলে দেখবেন মাস শেষে ৪/৫ টা অনুশীলন হয়ে যাবে।
*এ ক্ষেত্রে আরো একটা কাজ করতে পারেন, রিডিং প্যাসেজের উপরও নিজে রচনা লেখা ট্রাই করতে পারেন। অর্থাৎ রিডিং প্যাসেজ যেগুলো প্র্যাকটিস করবেন, সেগুলোর উপরই নিজের ভাষায় রচনা লিখবেন।
**ভুল হওয়ার ভয়কে জয় করে, অনুশীলন শুরু করুন।
ফরেন ল্যাংগুয়েজে কম বেশি সবারই ভুল হবে।
★এভাবে নিয়মিত ১/২ ঘন্টা ইংরেজি পড়ুন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন।
★ইংরেজি গল্পের বই পড়ুন। নভেল ও পড়তে পারেন।
★ইংরেজির ক্ষেত্রে Vocabulary এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তাই যত পারুন, নিজের শব্দ ভাণ্ডার বাড়ান। এক্ষেত্রে, প্রতিদিন ২ -৩ টা করে শব্দ শিখুন। প্রতিটি শব্দের Antonym, ২ /৩ টা Synonym এবং বাংলা অর্থ শিখুন। দেখবেন খুব দ্রুত আপনি অনেক শব্দ এবং বানান আয়ত্তে এনে ফেলেছেন। সম্ভব হলে যে শব্দটা শিখছেন, সেটা কোন Parts of Speech দেখে নিন। সাথে সেই শব্দের অন্যান্য পদ গুলোও দেখে নিন। অর্থাৎ Noun form হলে Adjective, Verb,Adverb এ কি হয় তা দেখে নিন। এরকম করলে, দ্রুত শেখাও হয়, মনেও থাকে।
★মোবাইল সেটে তিনটা অফলাইন ডিকশনারি ডাউনলোড করে রাখুন। ইংলিশ টু ইংলিশ,ইংলিশ টু বাংলা এবং বাংলা টু বাংলা। কাজে আসবে।
★Weekend এ আগের শেখা লেসন আবার পড়ুন।
★মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনীটা আবারও পড়ুন।
সবশেষে, মনের ভয়কে জয় করুন।
সবার জন্য শুভ কামনা।